একেবারে সহজ এই দুর্দান্ত উপায়ে পুকুরে করুন মুক্তা চাষ, হবে লাখ টাকার ওপর আয়





নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রযুক্তি উন্নতির সাথে সাথেই বিভিন্ন ধরনের চাষবাসের ক্ষেত্রেও কিন্তু নানান ধরনের আমূল পরিবর্তন চলে এসেছে। অনেকেই আজকাল বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক পদ্ধতিকে অর্থ উপার্জনের প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন । বিশেষ করে কৃষি কাজকেই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সাহায্যে একটি ব্যবসার মতন লক্ষ্যে উপনীত করার কাজ চলছে বেশ কিছু সময় ধরে। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সাথে সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিভাবে পুকুরে মাছ চাষের সাথে মুক্ত চাষ করা যায় সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
এই চাষের মাধ্যমে বিঘা প্রতি কত লাভ হতে পারে তা হয়তো আপনাদের ধারণার মধ্যেও নেই।। দেশের অনেক জায়গাতেই কিন্তু এভাবে বিনামূল্যে মুক্ত চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের না জানার কারণে এগুলো খুব একটা পরিচিতি পায় না। তবে যারা জানেন এই ব্যবসা থেকে কতটা লাভ হতে পারে বা কতটা উপার্জন হতে পারে তাদের কিন্তু আর আলাদাভাবে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। যারা সম্প্রতি নতুন ব্যবসা শুরু করার ব্যাপারে ভাবছেন তারা অবশ্যই আমাদের আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি একেবারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়বেন এবং সঙ্গে থাকা ভিডিওটি দেখে নেবেন। নিঃসন্দেহে নতুন ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন।




পুকুরে মুক্ত চাষের বিশেষ পদ্ধতি:
আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা এমন এক বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার আপনাদের কাছে তুলে ধরব যিনি দীর্ঘ সময় ধরে জাপানে কৃষি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছেন। মুক্ত চাষের জন্য এই বিজ্ঞানী যা বলেছেন সেটা অনুযায়ী শুরুতেই যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাদের একটি বেশ বড় সাইজের পুকুর দেখে নিতে হবে। মুক্ত চাষের ব্যবসা শুরু করার এটাকেই প্রথম ধাপ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।
ঝিনুক অপারেশন করে দীর্ঘ সময় ধরে এই পুকুরেই কালচারাল পদ্ধতিতে রেখে দেওয়া হয় যাতে সেটা মুক্ততে পরিণত হয়ে যায়। প্রত্যেকটা ঝিনুকের মধ্যে থেকে দুটি করে মুক্ত পাওয়া যাবে। যদি ডিজাইন মুক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে কোন সময়ে এটা চকচক হয়ে ডিজাইন ফুটে উঠছে সেই বিষয়ে আপনাদের নজর রাখতে হবে এবং হারভেস্ট করতে হবে। এরপর আসা যাক বাজার তৈরির কথায়। শুধুমাত্র মুক্ত চাষ নয় মুক্ত কেনার প্রতি ও মানুষের আগ্রহ তৈরি করতে হবে যাতে বাজার ধরতে খুব সুবিধে হয়। মুক্ত তৈরি হওয়ার পরে যদি সেটা বাজারে বিক্রি না হয় তাহলে কিন্তু উদ্যোক্তারা আর চাষের প্রতি আগ্রহ দেখাবে না এটাই স্বাভাবিক।




চাষের বিভিন্ন ধাপ:
ঝিনুক যখন মাটিতে চলাফেরা করে তখন তাদের গায়ে অনেক জিনিস ঢুকে যায়। সেগুলো দূর করার জন্য তারা নিজেদের শরীর থেকে এক ধরনের আঠালো পদার্থ নিঃসরণ করে যেখান থেকেই মুক্ত তৈরি হয়। এই বাইরের কোন জিনিস ঝিনুকের শরীরে প্রবেশ করলে এক ধরনের যন্ত্রণা হয়। ঝিনুকের দুই দিকে এক ধরনের মাসাল থাকে চাষ করার জন্য আপনাদের প্রথমেই সেটাকে বের করে নিতে হবে। এর ভেতরের রং পরিবর্তন করার জন্য আপনারা ক্যালসিয়াম কার্বনেট প্রয়োগ করতে পারেন। মনে রাখবেন পাউডার এর উপর নির্ভর করে ঝিনুকের গায়ে থাকা মুক্তর রং কেমন হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু প্রজাতির পরিবর্তন ঘটিয়েও আপনারা এই রং এর পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন।




মুক্ত চাষ শুরু করার আগে আপনাদের যে সমস্ত বিষয় গুলি মাথায় রাখতে হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঝিনুকের প্রকৃতি নির্বাচন। খেয়াল রাখবেন ঝিনুক যেন খুব বেশি বয়স্ক বা ইয়ং না হয়। ঝিনুকের গায়ে সাদা রংয়ের ছোপের দাগ দেখা গেলে বুঝবেন বয়স হয়ে গিয়েছে। সুতরাং সেই ধরনের ঝিনুক আপনারা মুক্ত চাষের জন্য একেবারেই ব্যবহার করবেন না। চাষ করার আগে ঝিনুকের যে অপারেশন করা হয় সেটাও কিন্তু ভালোভাবে করতে হবে না হলে কিন্তু কোনোভাবেই মুক্তোর মান ভালো হবে না।
অপারেশন করার সময় ঝিনুকে যে নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানো হয়ে থাকে তার মানটার উপরেও আপনাদের নজর রাখতে হবে। সবশেষে বলবো পরিচর্যার কথা। এক থেকে দু সপ্তাহ অন্তর কিন্তু আপনাদের নেট পরিষ্কার করে দিতে হবে। যদিও যেকোনো চাষের পরিচর্যার প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে মুক্তো চাষের ক্ষেত্রে যেহেতু এটা একটু আলাদা তাই অবশ্যই আপনাদের এদিকেও ঠিকভাবে নজর রাখতে হবে।।











