বিনা খরচে বাড়ির উঠোনে বা ছাদেই টবেতে করুন এই সহজ ঘরোয়া উপায়ে টমেটো চাষ, কয়েকদিনেই হবে প্রচুর ফলন









নিজস্ব প্রতিবেদন: মানুষের পছন্দের সবজি গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম সবজি হলো টমেটো। ভারত বাংলাদেশ থেকে শুরু করে বিশ্বের অনেক দেশেই কিন্তু এই সবজিকে খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র রান্না করে নয় টমেটো কিন্তু সহজেই কাঁচা অবস্থাতেও খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।টমেটো প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন কেচাপ, আচার, চিপস, সস ইত্যাদিতেও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
এবং সারা বছর ধরে এই চাহিদার কারণে, হাইড্রোপনিক বা অ্যাকোয়াপনিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত ফসলের বেশিরভাগই টমেটো। নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনারা বুঝে গিয়েছেন আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনের আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হলো টমেটো। যাদের কৃষিকাজ সম্পর্কে সাধারণ কিছু জ্ঞান আছে তারা সকলেই জানেন হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে উৎপন্ন টমেটো আকারে অনেকটাই বড় হয়ে থাকে। এত আকার আর আয়তনে এই টমেটো অনেকটা বড় হয় তাই দাম কিন্তু ভাল রকমের পাওয়া যেতে পারে।




খুব সহজে এই পদ্ধতির টমেটো চাষ করলে কিন্তু মানুষ লাভজনক হতে পারে। এই চাষীদের কিন্তু অর্থ উপার্জন নিয়ে খুব একটা চিন্তা করার প্রয়োজন থাকবে না। টমেটো এর মধ্যে যে পুষ্টিগুণ রয়েছে সেই গুণ কিন্তু খুব কম সবজির মধ্যেই রয়েছে। টমেটো থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আর ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও টমেটোর মধ্যে বিটা ক্যারোটিন থাকে যা আমাদের রাতকানা রোগ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
গবেষকদের মতে টমেটোর মধ্যে কিন্তু বিশেষ কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে গুনাগুন ও বর্তমান। এতগুলো গুনাগুন শোনার পর নিশ্চয়ই আপনাদের মনে টমেটোর প্রতি একটা আলাদা ভালোবাসা জেগেছে। যদি তা হয়ে থাকে আজ আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করে নেব বাড়িতে খুব সহজ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করার সহজ উপায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
যদি আপনার বাড়িতে খুব বড়পরিসর না থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু কৌটোর সাহায্যে টমেটো চাষ শুরু করতে পারবেন। এর জন্য আপনাদের প্রথমেই কয়েকটি খালি প্লাস্টিকের কৌটো নিয়ে নিতে হবে। এই কৌটোগুলোর উপরের অংশ কেটে নেবেন এবং ছিদ্র করে নেবেন। তারপর কয়েকটি টমেটো নিয়ে স্লাইস করে কেটে ফেলুন। এরপর মাটির মধ্যে এই স্লাইস গুলোকে রেখে উপরে আরো কিছুটা মাটি চাপা দিয়ে একটা লেয়ার সৃষ্টি করে ফেলুন। ব্যাস এবারে এগুলোকে অল্প ছায়াযুক্ত স্থানে আপনাদের রেখে দিতে হবে।




দেখবেন মোটামুটি দশ দিনের মধ্যেই কিন্তু এগুলো থেকে চারা বেরিয়ে চলে আসছে। প্রথমে যে কৌটোগুলো নিয়েছিলেন তাতে এবার মাটি ভরে নেবেন। তারপর টমেটো স্লাইস থেকে বেরোনো চারাগুলোকে এই মাটিতে রোপন করুন। চারা রোপন করা হয়ে গেলে ওপর থেকে আরেকটা প্লাস্টিকের ছোট বোতলে করে ফলের টুকরো ভরে দিন। এটা কে একটা বড় কৌটার মধ্যে রেখে দিতে হবে। পরে প্রয়োজন মতন আপনি কিন্তু সার দিতে পারবেন।
যেকোনো খোলা জায়গাতেই হুক বা পেরেকে বড়ো প্লাস্টিকের কৌটো দড়ির সাহায্যে ঝুলিয়ে রাখবেন আর নিয়মিত প্রয়োজন অনুযায়ী জল প্রয়োগ করবেন। যখন চারাগুলির মোটামুটি ১৫ দিন বয়স হয়ে যাবে তখন থেকে প্রতি সপ্তাহে এতে শুকনো কলার খোসা গুঁড়ো করে প্রয়োগ করবেন। দেখবেন কুড়ি দিনের মধ্যেই গাছগুলি আরো বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে।
ঝোলানো দড়ি বেয়ে যখন গাছগুলি উঠতে শুরু করবে তখন এর নিচের দিকের কয়েকটি পাতা কেটে নেবেন। ৩০ দিন হতে না হতে কিন্তু গাছে ফুল চলে আসবে। এই সময় আবারও নিচের দিকের পাতা ও উপরের ডগা আপনারা ছেঁটে নেবেন। মোটামুটি ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যেই গাছে ভালোভাবে ফলন ধরে যাবে এবং টমেটো ব্যবহারের উপযুক্ত হয়ে যাবে।











