প্রয়োজন নেই জমির! বাড়ির ছাদ বা উঠোনেই করুন বাঁধাকপির চাষ, শুধু মেনে চলুন এই সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি









নিজস্ব প্রতিবেদন: শীতকালের মরশুমে বিভিন্ন সবজির মধ্যে আমরা বাঁধাকপির নাম উল্লেখ করতে পারি। এই সবজিটি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের পদ তৈরি করা যেতে পারে যা বেশ সুস্বাদু। এই বাঁধাকপির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। তবে পাঠকদের উদ্দেশ্যে জানিয়ে রাখি আমাদের দেশে যে সমস্ত বাঁধাকপি উৎপাদিত হয় তার বেশিরভাগটাই কিন্তু হাইব্রিড প্রজাতি। তাই আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা একেবারে সহজ সরল পদ্ধতিতে কিভাবে ঘরেই বাঁধাকপির চাষ করা যেতে পারে সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চলেছি।
বাড়িতে বাঁধাকপি চাষের স্টেপ বাই স্টেপ পদ্ধতি:
চাষ করার জন্য আপনাদের প্রথমেই একটা উপযুক্ত মানের মাটি তৈরি করে নিতে হবে। মনে রাখবেন বাঁধাকপি চাষের জন্য সবথেকে উপযুক্ত হচ্ছে দোআঁশ মাটি। বাঁধাকপি চাষের জন্য মাটি প্রস্তুত করতে হলে আপনাদের প্রথমেই নিয়ে নিতে হবে কিছুটা পরিমাণে গার্ডেন সয়েল। এবার এই গার্ডেন সয়েলের সঙ্গে আপনাদের মেশাতে হবে ভার্মি কম্পোস্ট সার, গোবর সার, পাতা পচা সার ও কিছুটা পরিমাণে বালি। আপনাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট সাইজের টব কিনে তার মধ্যে এই প্রস্তুত করা মাটি পরিমাণ মতন ভরে দিতে হবে।




এবার যে কোন নার্সারির দোকান থেকে কয়েকটি ভালো জাতের বাঁধাকপির বীজ কিনে নিয়ে আসুন এবং এই মাটিতে লাগিয়ে নিন। খুব সাবধানে বীজগুলোর রোপন করবেন এবং তারপর জল দিতে ভুলবেন না। বাঁধাকপির বীজ রোপনের ৩০ থেকে ৩৫ দিন অর্থাৎ এক মাসের মধ্যেই কিন্তু চারা গাছ বেরিয়ে যাবে। চারা বেরানোর পরে আপনাদের যত্ন আরো বাড়িয়ে দিতে হবে যাতে গাছের কোন রকমের অসুবিধা না হয়। চারা একটু বড় হলে ছোট টব থেকে কোন বড় তবে গাছগুলোকে স্থানান্তর করে যেতে পারেন যাতে এগুলো সঠিকভাবে বাড়তে পারে।




যদি কোন রকমের সমস্যা না থাকে সেক্ষেত্রে বাঁধাকপির বীজ না লাগিয়ে আপনারা কিন্তু নার্সারি থেকে কোন ভালো মানের চারা ও কিনে নিয়ে এসে লাগাতে পারেন।। এতেও ঠিক একই রকমের যত্ন আপনাদের করতে হবে। এবার চলে আসি সারের প্রয়োগের কথায়।ভালো ফলনের জন্য ইউরিয়া এবং এমওপি সার দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে গাছ রোপনের ২০ থেকে ২৫ দিন এবং ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মাথায় সার প্রয়োগ করা যেতে পারে।
আরো একটি দিকে আপনারা বিশেষ লক্ষ্য রাখবেন যখন বাঁধাকপির গাছ বড় হতে থাকবে তখন এর নিচের দিকের পাতা কেটে দেবেন। তাহলে কিন্তু গাছের বৃদ্ধি কোন রকম ভাবেই ব্যাহত হবে না। ব্যাস গাছ লাগানোর পর এভাবে যদি আপনারা স্টেপ বাই স্টেপ যত্ন করতে পারেন তাহলে কিন্তু খুব শীঘ্রই আপনাদের বাগানের গাছ বেড়ে উঠবে এবং বাম্পার ফলন দেবে।











