মাত্র ১৫০০ টাকায় শুরু করুন এই ব্যবসা, কয়েকদিনের মধ্যেই হবেন প্রচুর অর্থের মালিক









নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবসা মানুষকে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে বরাবর থেকেই সাহায্য করে থাকে। বিশেষ করে এই ব্যবসা যদি আপনি সঠিক পদ্ধতিতে শুরু করতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনাকে প্রচুর অর্থের মালিক হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবেনা। মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ যখন ব্যবসা শুরু করেন তখন সর্বদা খেয়াল রাখেন যে এমন ব্যবসা শুরু করার যাতে বিনিয়োগ কম আর উপার্জন বেশি। মূলধন ছাড়া কোন ব্যবসাই সম্ভব নয়।
তবে অবশ্যই এমন কিছু ব্যবসা রয়েছে যাতে মূলধনের প্রয়োজনীয়তা খুবই কম। একেবারে কম খরচে যারা সম্প্রতি ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তারা আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটা একদম মনোযোগ সহকারে পড়ে ফেলুন।। নতুন ব্যবসায়ীদের এগিয়ে চলার জন্য এই প্রতিবেদনটা একটা দুর্দান্ত মাধ্যম হতে পারে। মোটামুটি আশেপাশে আপনারা নিশ্চয়ই অনেক মানুষকেই দেখেছেন ব্যবসা করে প্রচুর অর্থের মালিক হতে।




তাদের এই সফলতার গোপন রহস্য কি বলুন তো? শুধুমাত্র পরিশ্রম? একেবারেই নয়। অবশ্যই ব্যবসায়িক বুদ্ধি আর ধৈর্য না থাকলে কখনোই কিন্তু এই সফলতা সম্ভব নয়। তাই প্রতিবেদনের মূল পর্বে যাওয়ার আগে আমরা পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে বলবো যে কোন ব্যবসা শুরু করার আগে একবার নিজের এলাকার প্রতি নজর রাখুন এবং দেখুন আপনার এলাকায় ঠিক কোন ধরনের ব্যবসা সবথেকে বেশি চলছে!
পাশাপাশি এটাও দেখতে ভুলবেন না যে আপনি যে ব্যবসাটা শুরু করতে চাইছেন সেটা ঠিক কেমন ভাবে আর কত মূলধনের মধ্যে শুরু করতে পারবেন। প্রয়োজন হলে পুরনো কোন অভিজ্ঞ মানুষের থেকেও কিন্তু এই বিষয়ে মতামত গ্রহণ করতে পারেন।
নির্দিষ্ট খরচের মধ্যে শুরু করা যাবে এমন কিছু ব্যবসা:
১) কটন ক্যান্ডির ব্যবসা:
যে কোন উৎসব অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে মেলায় এই চিনির তৈরি সুখাদ্য টি আপনারা দেখতে পাবেন। বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় সবাই কিন্তু এটি খেতে অত্যন্ত পছন্দ করে থাকে। আপনারা কিন্তু চাইলে খুব সহজেই এই কটন ক্যান্ডি তৈরির মেশিন কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।




তবে মেলা বা কোন বড় অনুষ্ঠান ছাড়া বছরের অন্যান্য সময় এই ব্যবসা থেকে কিন্তু বিশেষ উপার্জন হবে বোধ হয় না। তবে ভালো লোকেশনে দাঁড়াতে পারলে অর্থ উপার্জন নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কটন ক্যান্ডি তৈরির মেশিন আপনারা মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়ে পেয়ে যাবেন। এই খাবারটি তৈরীর মূল কাঁচামাল হল চিনি এবং ফুড কালার।




২) পেপার প্লেট মেকিং এর ব্যবসা:
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই পেপার প্লেট মেকিং এর ব্যবসা ঠিক কতটা চাহিদা সম্পন্ন তা হয়তো আপনাদের সকলেরই জানা রয়েছে । উৎসব অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অনেক বাড়িতেই কিন্তু এই পেপার প্লেটের চাহিদা থাকে। শুধুমাত্র দেশ নয় বিদেশেও আপনারা এই ব্যবসা পরিধি বিস্তার করতে পারবেন।
তবে সবার প্রথমেই আপনাদের লোকাল মার্কেট ধরে নিতে হবে। পেপার প্লেট তৈরি করার জন্য ম্যানুয়াল এবং অটোমেটিক দুই ধরনের মেশিন পাওয়া যেতে পারে।যদি আপনাদের কাছে খুব বেশি পুঁজি না থাকে ক্ষেত্রে আপনারা ম্যানুয়াল মেশিন কাজে লাগাবেন।




৩) পপকর্ন বিক্রির ব্যবসা:
বছরের যে কোন সময় সিনেমা হল থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজার বা মেলাতে কিন্তু এই পপকর্ন বিক্রির ব্যাপক বাজার থাকে। এই ব্যবসায় খুব একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই বললেই চলে। এই মেশিনটি কিনে খুব সহজেই আপনারা পপকর্ন তৈরি করে বিক্রয় করতে পারবেন। এই মেশিনের সাথেই ওভেন আর মিউজিক সিস্টেম দেওয়া রয়েছে, শুধুমাত্র কাচ লাগিয়ে আপনাদের ব্যবসা শুরু করতে হবে।। এই মেশিনের ক্ষেত্রে কিন্তু ম্যানুয়াল প্রোডাকশন হবে । যদি আপনাদের আগ্রহ থাকে এই কাজটাও দেখতে পারেন।




৪) আটা চাকির ব্যবসা:
৮ ইঞ্চি থেকে ১৮ ইঞ্চি পর্যন্ত আটাচাকির মেশিন কিনে আপনারা ব্যবসা শুরু করতে পারেন। স্থানীয় বাজারে এই আটাচাকির চাহিদা কিন্তু ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে। সুতরাং অর্থ উপার্জন নিয়ে আপনাদের চিন্তা করতে হবে না। যারা ছোট ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তাদের জন্য এটা একেবারে পারফেক্ট একটা আইডিয়া। এটা যেহেতু একটা রেগুলার ব্যবহারের জিনিস তাই কখনোই কিন্তু প্রোডাক্টের চাহিদার অভাব হবে না। যারা একটু চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা খুজছেন তাদের জন্য এটা একেবারে আদর্শ।
৫) মসলার ব্যবসা:
প্রত্যেক বাড়িতেই কিন্তু রান্নাবান্নার কাজে ব্যাপক পরিমাণে মশলার ব্যবহার হয়ে থাকে। সুতরাং আপনারা যদি এই ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন সে ক্ষেত্রে কখনোই চিন্তা করতে হবে না। বিভিন্ন মসলা গুঁড়ো করে তৈরি করার জন্য আপনারা খুব সহজেই মেশিন কিনতে পারবেন । এই মেশিনটির দাম পড়বে ২২ হাজার ৫০০ টাকা। এই ব্যবসাটা শুরু করার জন্য গ্রাম বা শহর এরকম কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নেই, সব জায়গাতেই চলবে।




৬) রাইস মিলের ব্যবসা:
স্পষ্ট বাংলায় এটাকে ধান ভাঙ্গানোর ব্যবসা বলা যেতে পারে। চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন মানুষ থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলের অনেকেই কিন্তু রাইস মিল মেশিন কিনে খুব সহজেই এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন । তবে অবশ্যই আপনাদের এই ব্যবসা অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে শুরু করতে হবে। যে কোন জায়গাতেই কিন্তু এই ব্যবসা দাঁড়াবে না।
৭) ঝুরিভাজার ব্যবসা:
এই ব্যবসাটাও কিন্তু খুব সহজে আপনারা মেশিন কিনে শুরু করতে পারবেন। মুখরোচক এই খাবারটির চাহিদা সব জায়গাতে সকল বয়সের মানুষের মধ্যেই রয়েছে। এমন কিছু মেশিন পাওয়া যায় যেখানে ঝুরিভাজা ছাড়াও আরো কিছু খাবার তৈরি করা যেতে পারে। আপনারা চেষ্টা করবেন সেই ধরনের মেশিন নেওয়ার যাতে একসাথে গোটা জিনিসটাই ধরে রাখা যায়।




৮)জুস বিক্রির ব্যবসা:
আমাদের এই প্রতিবেদনের একেবারে সবশেষে অল্প মূলধনে তৈরি জুস বিক্রির ব্যবসার কথা বলব। জুস তৈরি করার মেশিনের দাম পড়বে ১৫৫০০ টাকা। এই মেশিনটি কিন্তু খুব সহজেই আপনারা দোকানে রেখে অথবা যে কোন জায়গাতেই নিয়ে গিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। এই ব্যবসাতে উপার্জনের পরিমাণ টাও ভালো। একটু গরম কালের দিকে যদি আপনি এই ব্যবসা শুরু করেন তাহলে শুরুতেই কিন্তু বেশ বড় অংকের লাভ হতে পারে।




আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আমরা যে সমস্ত ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিলাম তার প্রতিটাতেই সব থেকে প্রধান জিনিস হচ্ছে মেশিন।। আপনারা চাইলে খুব সহজেই ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট থেকে এই মেশিনগুলো কিনে ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিচে ঠিকানা এবং যোগাযোগ নাম্বার সহ অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করে দেওয়া হলো।
Saha enterprise
Address : Uluberia branch,
Kathila,banitala, howrah- 711316
Others branch :
Kaliganj daspara,POO kaliganj, Dist-Nadia.
Contact : 9073599496











