শীতকালে বাড়িতে থাকা জবা গাছের গোড়ায় রোজ দিন এই একটি ঘরোয়া জিনিস, মাত্র ৭দিনেই ছোট্ট গাছে আসবে প্রচুর কুঁড়ি









নিজস্ব প্রতিবেদন: বিভিন্ন ফুল গুলির মধ্যে চাহিদার বিচারে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে জবা ফুল।। ঠিক সময়ে যদি এই গাছ লাগানো হয় তাহলে কিন্তু প্রচুর পরিমাণ ফুল ধরে। তবে বাগানপ্রেমী মানুষদের মধ্যে অনেকেই কিন্তু কিভাবে গাছের পরিচর্যা করতে হবে সেই সম্পর্কে কোন স্পষ্ট ধারণা রাখেন না। তাই অনেক সময় পরিশ্রম করে গাছ লাগানোর পরেও কিন্তু সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনে একেবারে নার্সারির নিয়মে আপনাদের সাথে জবা গাছের চারা তৈরি করার কথা বলব। শীতকালের শেষের দিকে কিন্তু আপনারা এই গাছগুলোতে প্রচুর ফুল পাবেন। চলুন তাহলে আর সময় নষ্ট না করে আমাদের আজকের এই প্রতিবেদনটি শুরু করা যাক।
জবা গাছের চারা তৈরি করার প্রচুর পদ্ধতি রয়েছে। যে পদ্ধতিটি আমরা আজকে শেয়ার করব তাতে গাছের ডাল কেটে নিয়ে সেখান থেকে একেবারে নতুন শাখা গুলিকে আলাদা করে কাটিং করে এগুলোর নিচের অংশ চেঁচে নিন। এর তলায় যে গিটের মতন অংশটা থাকে সেখান থেকে কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি শিকড় চলে আসে। শীতকালে চারা তৈরি করতে গেলে আপনাদের ব্যবহার করতে হবে রুটিং হরমোন।। তার জন্য আপনারা মধু বা অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমেই একটা এলোভেরার পাতা নিয়ে সেটার উপরের ছালের মত অংশটাকে তুলে জেলটাকে বাইরে রাখুন। তারপর জবা গাছের যে শাখাটিকে কাটিং করে রেখেছেন সেটাকে এই জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে দিন।




এই পদ্ধতিতে ডালের গোড়ায় রুটিং হরমোন লাগিয়ে নিয়ে বালির মধ্যে ডাল দুটোকে বসিয়ে দিতে হবে। যেকোনো টবে আগে থেকেই আপনারা বালি সংগ্রহ করে রাখবেন। বালির পরিবর্তে আপনারা কোকোপিট ও ব্যবহার করতে পারেন। তারপর আপনাদের এর মধ্যে পরিমাণ মতন জল দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর টবের মধ্যে থাকা এই চারা গুলোকে প্লাস্টিকের একটা যে কোন বড় বোতল বা ঢাকনা দিয়ে কভার করে আসতে হবে।
শীতে চারা করলে একটু বেশি সময় লাগে। তাই মোটামুটি ৩০ দিন পর্যন্ত আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর যারা বেরিয়ে গেলে খুব সাবধানে আপনাদের গাছগুলোকে তুলে নিয়ে দেখে নিতে হবে। এবার বালি থেকে তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট কোন বড় সাইজের টবে বা খোলা মাটিতে চারাগুলোকে প্রতিস্থাপন করে দেবেন। তারপর প্রয়োজন অনুযায়ী পরিচর্যা করলেই কিন্তু গাছ নিজের গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকবে এবং দারুণ ফুল দেবে।











